নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় রোববার সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে ছয় মাস আগে বিয়ে করেন শিক্ষিকা খাইরুন নাহার। সকালে ভাড়া বাসা থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
উল্লেখ্য, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহে সে সংসার বেশি দিন টিকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে।
মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।
পাঠকের মতামত